জয়দীপ ক্লাস সেভেন পর্যন্ত আমার সাথে খানপুরে পড়েছে। সেভেনে পড়াকালীনই ওর সাথে আমার একটা বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। স্কুল ছুটি হলে আমরা একসাথে বাড়ি ফিরতাম। আমাদের দুজনের সাথে আরও একজন থাকত। সেই ছেলেটির নাম এই মুহূর্তে মনে করতে পারছিনা। গল্প বলার সুবিধার খাতিরে ওর নাম দিলাম সন্দীপ। আমরা তিনজনে একসাথে ফিরতাম। জয়দীপের বাড়ি আমাদের পাড়াতেই ছিল। ‘ছিল’ শব্দটি ব্যাবহার করছি তার কারন, জয়দীপরা পরে মুম্বাই চলে যায় বাড়ি বিক্রি করে। সন্দীপ অন্য জায়গায় থাকত। জয়দীপ ক্লাস সেভেন পর্যন্তই খানপুরে পড়েছিল, কারন ক্লাস সেভেন শেষ করেই ওরা মুম্বাই চলে যায়। ওর দিদির বিয়ে হয়ে যায় মুম্বাইতে এবং দিদির সাথে জয়দীপ এবং ওর মা- দুজনেই মুম্বাই চলে যায়। মুম্বাইতে জয়দীপের মা একটা কাজ পেয়ে যায়। জয়দীপের বাবা ছিলনা। জয়দীপের বয়স যখন ১২ বছর তখন জয়দীপের বাবা মারা যায়। এখানে বলে রাখা ভালো এই লেখাটিতে জয়দীপ বারংবার আসলেও, এই লেখার মুখ্য উদ্দেশ্য হল- আমি কিভাবে মহিলাদের ঋতুস্রাব বিষয়টি জানলাম।
জয়দীপের বাড়ির সামনের একটা উঠোন ছিল। ওখানে ওরা ক্রিকেট খেলত। হাফ-হ্যান্ড ক্রিকেট যাকে বলে। উঠোনের এক কোনায় বাথরুম ছিল। ঘর থেকে বেড়িয়ে হেঁটে উঠোন পেড়িয়ে বাথরুমে যেতে হত। বাথরুমটা আর পাঁচটা বাথরুমের মতনই ছিল। কিন্তু বাথরুমের পিছনের দেয়ালটা একটু ভাঙা ছিল যেটা দিয়ে ভিতরটা দেখা যেত। ওই ছিদ্রে চোখ লাগিয়ে জয়দীপ এবং বন্ধুরা দিদির নগ্ন শরীর প্রায়ই দেখত। ছুটির দিনে জয়দীপ এবং ওর পাশের বাড়ির বন্ধুরা সকাল থেকেই ক্রিকেট খেলা শুরু করত। একটা অদ্ভুত জিনিস ঘটত সেটা হল, যখনই জয়দীপরা ক্রিকেট খেলত তখনই দিদি স্নান করতে ঢুকত। তাই প্রায় যেদিনই ওরা ক্রিকেট খেলত সেদিন দিদির নগ্ন শরীর দেখার সুযোগ ছাড়ত না।
আমি যে দিনের ঘটনা বলছি, সেদিনও দিদি স্নান করতে ঢুকেছে যখন জয়দীপরা ক্রিকেট খেলা শুরু করেছে। যথারীতি ইচ্ছে করেই জয়দীপরা বলটাকে বাথরুমের পিছনে পাঠিয়েছে। বল আনার অজুহাতে দিদির নগ্ন শরীর দেখবে বলে। ওরা পালা করে বাথরুমের ভিতরের দৃশ্য দেখত। কিন্তু সেদিন অন্য দৃশ্য দেখে। জয়দীপের দিদি সম্পূর্ণ নগ্নতো বটেই, কিন্তু শরীরের নিচের অংশ অর্থাৎ যৌনাঙ্গে সাদা রঙের কি একটা পড়ে রয়েছে। মেঝেতে সাদা রঙের ওরকমই দেখতে একটা কাপড়ের মতন আরও একটা বস্তু পড়ে রয়েছে। ওরা মোট তিনজন ছিল এবং কারোরই জানা ছিলোনা সাদা রঙের বস্তুটি কি? পরের দিন স্কুলে এসে বলে গোটা ঘটনাটি সম্বন্ধে। আমারও জানা ছিলনা সাদা রঙের বস্তুটি কি হতে পারে। পরবর্তীকালে বয়স বাড়লে বুঝতে পারি ওটা স্যানিটারি প্যাড ছিল এবং জয়দীপের দিদির তখন মাসিক চলছিল।
(Image Source: the noun project)
জয়দীপরা মুম্বাই চলে যায় আগেই বলেছি। কিছু বছর হল জয়দীপরা কলকাতায় ফিরেছে। এখন জয়দীপ বিবাহিত। কলকাতার একটা নামকরা কোম্পানিতে কাজ করে, Regional Sales Manager হিসেবে এবং বিক্রি করে স্যানিটারি প্যাড।
No comments:
Post a Comment