Saturday, November 21, 2020

পরীক্ষার বিড়ম্বনা

 ফেড ইন 

একটা ক্লাস। পরীক্ষা চলছে। কয়েকজন খুব মনযোগ দিয়ে লিখে যাচ্ছে। শুধুমাত্র একজন বাদে। একটি ছেলে (শুভ্র) বারংবার তার পিছনের এবং পাশের বন্ধুদের সাথে কথা বলছে। কিন্তু ইনভিজিলেটর চলে আসায় সে প্রশ্নের উত্তরগুলো জানতে পারছে না। আরও কিছুক্ষণ উশখুশ করে ছেলেটি কোশ্চেন পেপারটি ভাঁজ করে প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে নেয়। এবং ইনভিজিলেটরকে উদ্দেশ্য হাত তুলে জানতে চায়…

শুভ্র

আমি টয়লেটে যেতে পারি?

ইনভিজিলেটর

ইয়েস। গো। কিন্তু বেশি সময় নেবে না।

শুভ্র

ঠিক আছে।

কথাটি শেষ করেই শুভ্র পিছনে বসা আরেকটি ছেলেকে ইশারা করল বাইরে বেরনোর।

কাট টু

বাথরুমের ভিতর

একটি ছেলের পিছন দেখা যাচ্ছে। ছেলেটি প্রস্রাব করছে।

                           শুভ্র (O.S.)

ভাই, কিছুই পারছিনা। কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর বলে দিয়ে যা।

                         প্রথম স্টুডেন্ট (যে প্রস্রাব করছিল)

দুটো বললাম তো।

শুভ্র (O.S.)

আর কয়েকটা বলে দিয়ে যা।

কথাটি শেষ করা মাত্রই আরও একটি ছেলে ঢুকল বাথরুমে। প্রথম স্টুডেন্টটি শুভ্রের প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই বেড়িয়ে গেল। দ্বিতীয় স্টুডেন্ট ঢুকল এবং শুভ্র পথ আটকে দাঁড়ালো।

দুজনের ভিতর কথা চলতে লাগলো। আশপাশ দিয়ে অনেক ছেলে বাথরুমে ঢুকছে বেরোচ্ছে।

 

ফেড অফ

(টেক্সট)এক ঘণ্টা বাদে…

শুভ্র তখনও বাথরুমে। তৃতীয় স্টুডেন্টের সাথে কথা বলছে। নজর প্রশ্নপত্রের দিকে।

এরই মধ্যে ফার্স্ট বয় বাথরুমে ঢোকে। ফার্স্ট বয়কে দেখেই শুভ্র আনন্দিত হয়ে ওঠে। শুভ্র এগিয়ে যায় ফার্স্ট বয়ের দিকে।

                              শুভ্র

ভাই। তোর জন্যই ওয়েট করছিলাম। কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর বলে দিয়ে যা। না হলে পাশ করব না।

 

ফার্স্ট বয় কিছু বলেনা। বাথরুমে কাজ সেরে বেড়িয়ে যায়। শুভ্রকে এড়িয়ে যায়। এবং বাথরুম করতে থাকে।

শুভ্র ছাড়ে না। কোশ্চেন পেপারটা মুখের সামনে এগিয়ে দেয়।

শুভ্র

৪(বি) এর উত্তর টা বলে দিয়ে যা। না হলে পাস করতে পারব না।

                          ফার্স্ট বয়

এইটা। (আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়)

এই বলে সে বেড়িয়ে যায়।

ফেড আউট

১ ঘণ্টা পর…

তৃতীয় একটি ছেলের দুটো হাত ধরে

শুভ্র

থ্যাংক ইউ ভাই… সবকটা প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছি।  

এই বলে সে প্রস্নপত্রটি আবার প্রথম দেখে দেখতে শুরু করে। পেন দিয়ে টিক দিতে কন কন প্রশ্নের উত্তর সে পেয়ে গেছে। এই ভাবে সে গোটা প্রশ্নপত্রটাই উল্টেপাল্টে দেখে নেয়। গোটা প্রশ্নপত্রটা দেখা হয়ে গেলে হাসিমুখে বাথরুম থেকে বেড়িয়ে যায়।

কাট টু

শুভ্র ক্লাসরুমের বাইরে দরজার সামনে দাড়িয়ে।

শুভ্র

মে আই কাম ইন স্যার?

ইনভিজিলেটর

তুমি এতখন কোথায় ছিলে?

                                শুভ্র

স্যার পেটের সমস্যা হয়ে গেছিল।

                               ইনভিজিলেটর

ঠিক আছে চলে আসো।

শুভ্র নিজের জায়গায় গিয়ে বসে। একবার চারপাশটা দেখে নেয়। একজন ওর দিকে তাকালে, তাকে একটা হাসিও ছুড়ে দেয়।

পকেট থেকে প্রশ্নপত্রটি বের করে। সারা প্রশ্নপত্র উত্তর লেখা। উত্তরপত্রটি খোলাই ছিল। তাতে যেই উত্তর লিখতে যাবে, ঘণ্টা পড়ে যায়। মুখ তুলে চেয়ে দেখে ইনভিজিলেটর দাড়িয়ে রয়েছে ওর সামনে। কিছু শুভ্র বলতে যাবে, তার আগেই ইনভিজিলেটর মুখ খোলে।

                                ইনভিজিলেটর

টাইম্‌স আপ। খাতা দেও।

                        

                            (Source: Pxfuel)

No comments:

Post a Comment

No Matter What

I'm blogging after a year. The last two years were tough. What I started in 2020 September failed to continue in 2021. But this year, I&...